২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:০১

দিনভরই ঝড়-বৃষ্টি থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ছুটির দিন হওয়ায় রোববার সকালে রাজধানীতে কর্মস্থলের তাড়া তেমন নেই। কিন্তু, এরই মধ্যে ঘুম ভেঙে কিছুটা হলেও চমকে যেতে হয়েছে নগরবাসীকে। কারণ, সকাল সাড়ে সাতটার দিকেই নেমে এসেছে রাতের অন্ধকার। চমক তখনো বাকি ছিল। আটটা বাজতে না বাজতেই রাজধানীতে শুরু হয় কালবৈশাখী। সঙ্গে প্রবল বর্ষণ। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই ঝড়-বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে একাকার হয়ে গেছে। পথ চলতি মানুষেরা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।

অনেক এলাকার গাছপালা ভেঙে গেছে। বস্তির ঘরবাড়ি ঝড়ে উড়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার দিনভরই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী এবং বর্ষণ অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, সকাল ছয়টা থেকে রাজধানীতে তিন ঘণ্টায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছুয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, তাদের দুটো পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে কালবৈশাখীর গতিবেগ নির্ণয় করা হয়েছে। এর মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় সকাল সাড়ে আটটায় আঘাত হানা কালবৈশাখীর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৬ কিলোমিটার। আর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আরেক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকালে ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৬৩ কিলোমিটার।

কিছুটা বিরতি দিয়ে রাজধানীতে দুপুর পৌনে ১২টা থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছে। আজ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটি। তারপরও নিম্ন আয়ের মানুষদের আনাগোনা বেশ। সড়কে জমে থাকা নোংরা পানি মাড়িয়েই তাদের চলাচল করতে দেখা গেছে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অস্থান নিয়েছে।

এর ফলে সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বা আরও অধিক বেগে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে বিজলীসহ বিছিন্নভাবে কোথাও কোথাও ভারীবর্ষণ ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি এবং বাকি অঞ্চলের নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :এপ্রিল ২৯, ২০১৮ ২:১৮ অপরাহ্ণ