আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ভারতের কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আজ শুক্রবার তাকে বহনকারী বিমানে গুরুতর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তবে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষ পেয়ে নির্বিঘ্নেই দিল্লি থেকে কর্নাটকের হুগলি বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিমানটি বাঁ দিকে ঝুঁকে গিয়ে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ ফুট নিচে নেমে আসে। অটোপাইলট সিস্টেম কাজ না করায় হুবলি বিমানবন্দরে বিমানটিকে নামানো যাচ্ছিল না। তিনবার চেষ্টা করে পরে ম্যানুয়াল সিস্টেমে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে।
বিমানের ওই গোলযোগ পরিকল্পিত কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী নিজে এ ঘটনায় চক্রান্তের কথা বলেছেন। তবে ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে কথা বলেছেন রাহুল গান্ধীর সাথে।
কর্ণাটক রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে উত্তর কানাড়া, দক্ষিণ কানাড়া, কোদাগু ও মাইসোরের কংগ্রেস প্রার্থীদের জন্য প্রচারের কাজে কর্ণাটক যাচ্ছিলেন রাহুল গান্ধী। বিমানে রাহুল ছাড়া আরো পাঁচজন ছিলেন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, বিমানটি আকাশে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পাইলট তিনবারের চেষ্টায় নিরাপদে বিমানবন্দরে বিমানটিকে নামান।
তবে এ ঘটনায় ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনের (ডিজিসিএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়, অটোপাইলট ব্যবস্থায় সমস্যায় হওয়ায় ম্যানুয়াল মুডে বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করিয়েছিলেন পাইলট। এ ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।
কিন্ত এই ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, এসপিজির নিরাপত্তা পাওয়া কোনো ব্যক্তির উড়ানোর আগে পাইলট এবং বিমান-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়া হয় ডিজিএসএ এবং এসপিজির কাছে। তারা ছাড়পত্র দিলেই বিমানের উড়ানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। এ ঘটনায় অন্তর্ঘাত ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
রাহুলের সহযোগী কৌশল বিদ্যার্থী বলেছেন, কোনো প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তার ব্যাখ্যা মেলেনি। সকলের প্রাণ যেতে বসেছিল। তিনিও ঘটনার কথা জানিয়ে তদন্ত চেয়ে কর্ণাটকের পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ