নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের এমএফএ ১ম পর্বের পরীক্ষার ফলে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এক শিক্ষার্থীকে বিভাগের ভবিষ্যত শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতেই বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে মেধার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এতে লিখিত বক্তব্যে একই ব্যাচের ছাত্রী মুক্তা খানম বলেন, প্রকাশিত পরীক্ষার ফলে একজন শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম ছাড়া সবার রেজাল্ট জিপিএ ৩.৫০ এর নিচে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য ৩.৫০ এর নিচে কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারেন না। আমরা মনে করছি, সুমাইয়া ইসলামকে বিভাগের ভবিষ্যত শিক্ষক পদে অপ্রতিদ্বন্দ্বীভাবে নিয়োগ দিতেই বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে মেধার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, পূর্বের পরীক্ষাগুলোর ফল যদি আমরা দেখি, বেশকিছু শিক্ষার্থী বরাবরই ওই শিক্ষার্থীর চেয়ে ভালো ফল করে আসছেন। তবে এমএফএ ১ম পর্বের প্রকাশিত ফলে প্রথম স্থানধারী সুমাইয়া ইসলামের জিপিএ ৩.৭৭। তার সাথে বিশাল ব্যবধানে ২য় স্থানধারীর ব্যবধান জিপিএ ৩.৪৭। ব্যবধান এতটাই বেশি যে, তা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছেও প্রশ্নের সম্মুখীন এবং বিস্ময়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের নিয়ম থাকলেও ৯ জন শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করতে ৯২ দিন সময় নেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় বিভাগের চেয়ারম্যান সাবরিনা শাহনাজ কোনো পদক্ষেপ নেননি। ক্লাস টেস্ট ও মৌখিক ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এসব ঘটনায় বিভাগের প্রভাষক মো. আক্তারুজ্জামান সিনবাদ জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে চারটি দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- এমএফএ ১ম পর্বের ফল পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে, ফল পুর্নমূল্যায়নে অভিযুক্ত শিক্ষকদের কোনো ভূমিকা থাকবে না, এমএফএ দ্বিতীয় পর্ব তথা মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষার কমিটি বাতিল করতে হবে এবং এমএফএ দ্বিতীয় পর্বের কোনো কোর্সে অভিযুক্ত শিক্ষকের সম্পৃক্ততা থাকবে না।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ