নিজস্ব প্রতিবেদক:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে তুলে দেয়া হচ্ছে পরীক্ষার এমসিকিউ পদ্ধতি। গত ২২ এপ্রিল একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গতকাল (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট বৈঠকে অনুমোদনের পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একাডেমিক কমিটিতে অনুমোদিত আরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ আগামীতে কোনো মিডটার্ম পরীক্ষাও আর এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে না। প্রতিটি কোর্সের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক একটি করে টেক্সট বুক নির্ধারণ করে দেবেন যেটা বাজারে পাওয়া যাবে ও অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
এতে আরো বলা হয়, আন্ডার গ্রাজুয়েট (অনার্স) পর্যায়ে শিক্ষকরা ক্লাসে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে যদি কোর্সের প্রয়োজনে কোনো ভিডিও অথবা সচিত্র কনটেন্ট শিক্ষার্থীদের দেখানোর প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার করা যাবে।
এছাড়া, প্রতিটি কোর্সের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা সুলভ মূল্যে বাজারে পাওয়া যায় এমন বিশ্বমানের একটি টেক্সট বই নির্ধারণ করে দেবেন; প্রয়োজনে একাধিক রেফারেন্স বই ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো অবস্থাতেই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নোট, গাইড বা লেকচার শিট প্রদান করতে পারবেন না।
এমসিকিউ না থাকলে কিভাবে পরীক্ষা নেয়া হবে জানতে চাইলে জবি উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, সে ব্যাপাবে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এটা গোপন থাকবে। লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরীক্ষার আগে পরীক্ষার রোডম্যাপ জানিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা আজকের সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হয়।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ