২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:১৭

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সবকিছু করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আল্লাহর রহমতে যে পরিমাণ ক্ষতি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। তবে অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সব বাড়িঘর মেরামত করে দেওয়া হবে। খাদ্য ও নগদ সহায়তার পাশাপাশি পুনর্বাসনে সবকিছু করা হবে।

সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে মাহবুব-উল আলম হানিফের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল সরকারে নয়, বিরোধী দলে থাকতেও যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। দুর্যোগে মানুষের জীবন রক্ষাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। আমরা জনগণের সেবার জন্যই রাজনীতি করি। ভিয়েনা সফরে থাকতেই ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।

ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার, প্রশাসন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর দু’টি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ তৎপরতাসহ মানুষের জানমাল রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলোকেও ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে লাগানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকালে দেশে ফেরার পরপরই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছি, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে। দলের পক্ষে একাধিক টিমও গঠন করা হয়েছে। যেগুলো আজ-কালের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু করবে। তারা সরেজমিনে কেমন ক্ষতি হয়েছে, পুনর্বাসনে কী কী করণীয় সেগুলোও নির্ধারণ করে সুপারিশ করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সাগরে ভাটা থাকায় ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। তবে প্রচুর ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, গাছপালা ভেঙে পড়েছে। প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসও হবে। ওই সময় আমাদের প্রথম কর্তব্য মানুষের জীবন রক্ষা করা। আমরা সতর্ক আছি। যখনই ঘুর্ণিঝড়ের আভাস পাই, তখনই কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এবং সেগুলো মোকাবেলায় কার কী করণীয় তা নির্ধারণ করে মানুষের পাশে ছুটে যাই। সব ধরণের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করি বলেই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে আমরা সক্ষম হই।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওর, বাওর ও বিলের উন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যেই হাওর উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছে। এই কার্যক্রমগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন দরকার। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢিমেতালে চললে চলবে না। এই কাজগুলো গতিশীল করতে হবে।

দৈনিক দেশজনতা/এন আর

প্রকাশ :মে ৩১, ২০১৭ ৬:১৩ অপরাহ্ণ