২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:০০

২০১৬ সালের বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্রে ২০মিনিট পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

টাঙ্গাইলে এইচএসসির হিসাব বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় পুরাতন (২০১৬ সালের) বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্রে প্রায় ২০মিনিট পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন হাতে পেয়ে বহুনির্বাচনী উত্তরপত্রের ঘরটি পূরণ করা শুরু করে। প্রায় ২০ মিনিট পর এক শিক্ষার্থীর নজরে আসে ২০১৬ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি। তাৎক্ষণিক ওই শিক্ষার্থী দায়িত্বরত শিক্ষককে জানায়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার টাঙ্গাইলের বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না ওই কেন্দ্রে উপস্থিত হন। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ৭ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেন। ওই কেন্দ্রে সকালে বাসাইল জোবেদা রুবেয়া মহিলা কলেজ, করটিয়া আবেদা খানম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ও শহীদ রওশন আলী কলেজের ৮৪ জন শিক্ষার্থী দুইটি কক্ষে হিসাব বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীর হাতে ২০১৬ সালের বহুনির্বাচনী ‘গ’ সেট তুলে দেয়া হয়।

এ কেন্দ্রের ২০ নম্বর কক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী বলে, আমাদের কক্ষে ২০১৬ সালের বহুনির্বাচনী ‘গ’ সেট প্রশ্নে প্রায় ২০ মিনিট পরীক্ষা নেয়া হয়। এরপর বিষয়টি নজরে এলে দায়িত্বরত শিক্ষককে জানানো হয়। পরে ৭ মিনিট পরীক্ষার সময় বাড়িয়ে দেন।

একই কেন্দ্রের ১৪ নম্বর কক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী বলে, প্রায় ১৫ মিনিট পর প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয়। পরে ৭ মিনিট সময় বাড়ানো হয়।

বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রিন্সিপাল ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ভুল করে ২০১৬ সালের বহুনির্বাচনী ‘গ’ সেট প্রশ্ন দেয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পরিবর্তন করা হয়।

এ প্রসঙ্গে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক কেন্দ্রে গিয়ে প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ৭ মিনিট সময়ও শিক্ষার্থীদের বাড়িয়ে দেয়া হয়।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :এপ্রিল ২৬, ২০১৮ ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ