ঢাবি প্রতিবেদক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত পাঁচজনের সঙ্গে অন্য শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে রাজি হননি। সহপাঠীদের প্রতিবাদের মুখে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী ছাড়াই পরীক্ষা নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের পঞ্চম সেমিস্টারের ৫০২ নম্বর ‘রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ কোর্সের মিড টার্ম পরীক্ষা ছিল। সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যার যার আসনে বসেন। এ সময় বিপ্লব নামের একজন ছাত্র দাঁড়িয়ে বলেন, তোমরা কি ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্তদের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক কিনা? তখন অন্য শিক্ষার্থীরা ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্তদের সঙ্গে পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা এক হয়ে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের কাছে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানান। তখন কর্তৃপক্ষ ওই কোর্সের পরীক্ষা অভিযুক্তদের ছাড়াই গ্রহণ করে।
অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন, সালমান এফ রহমান, হাসিবুর রশিদ শাওন, সৌভিক হাসান, রাকিবুল হাসান ও মারুফ হাসান গালিব।
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্তদের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবে। তবুও সকালে তাদের সঙ্গে অন্য শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় আমরা অভিযুক্তদের ছাড়াই পরীক্ষা নিই। ওই পাঁচজনের পরীক্ষার ব্যাপারে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে ভিসি, রেজিস্ট্রারের কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেভাবেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বলেন, আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। একজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দিয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য।
ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভর্তি জালিয়াতির প্রমাণ পেলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নিই। ইতিমধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ