বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনার আমতলীতে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর করেছে ছাত্রলীগ নেতা বখাটে নাঈম মিয়া। পুলিশ বখাটে নাঈমকে তাড়া করলেও আটক করতে পারেনি। রেদওয়ানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত বখাটে নাঈম আমতলী পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের মহিলা কলেজ সড়কের মনিরুল ইসলাম টুকুর ছেলে ও পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ সদস্য। আর পরীক্ষার্থী রেদওয়ান উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাইনবুনিয়া গ্রামের খলিলুর রহমান মৃধার ছেলে।
বুধবার সকালে আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর পূর্বক্ষণে এ ঘটনা ঘটে। এতে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী জানায়, অভিযুক্ত নাঈম এইচএসসি পরীক্ষার্থী রেওয়ান মৃধার কাছে গত বছর নভেম্বরে মোবাইল ফোন দাবি করে। ওই পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে নাঈম মিয়া ওই সময় ছাত্র রেদওয়ানকে বেধড়ক মারধর করে।
সে রেদওয়ানের কাছে মোবাইল ফোন দাবি করে আসছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেদওয়ান আমতলীতে আসে। এ সময় নাঈম তার কাছে পুনরায় মোবাইল ফোন দাবি করে এবং শাসিয়ে দেয় মোবাইল ফোন না দিলে পরীক্ষার্থী রেদওয়ানকে দেখিয়ে দেবে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় রেদওয়ান পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বকুলনেছা মহিলা কলেজ কেন্দ্রের কক্ষে অবস্থান করে। বখাটে নাঈম পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে রেদওয়ানকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায় নাঈম পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকে রেদওয়ানকে বেধড়ক মারধর করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে পরীক্ষা শেষে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তাৎক্ষণিক পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও পুলিশ বখাটে নাঈমকে আটকের চেষ্টা করে। কিন্তু সে পালিয়ে যায়। রেদওয়ান আমতলী সরকারি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। বখাটের ভয়ে রেদওয়ানের আগামী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আমতলী পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মজিবুর রহমান বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা পূর্বে নাঈম নামের এক ছেলে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে রেদওয়ান নামের এক পরীক্ষার্থীকে মারধর করেছে। তার বিরুদ্ধে থানার সাধারণ ডায়েরি করা হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা আমতলী থানার এসআই মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নাঈমকে আটকের চেষ্টা করেছি কিন্তু সে পালিয়ে গেছে।
আমতলী থানার ওসি মো. সহিদ উল্যাহ বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে নাঈমকে আটকের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে পাইনি। তিনি আরও বলেন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, পরীক্ষার্থীকে মারধরের খবর পেয়েছি। যে মারধর করেছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি।