নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাস চালক আব্দুস সালাম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে কর্মচারীরা বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে রুয়েটের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে তালাইমারী বাজার প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। এসময় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এসময় রুয়েটের কর্মচারীরা আবদুস সালামের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি ধরতে পারেনি। এছাড়া রুয়েট অরক্ষিত এলাকা। এখানে কর্মচারীদের কোন নিরাপত্তা নেই। বহিরাগতদের আনাগোনা বেশি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের আটক করতে হবে, রুয়েট ক্যাম্পাসের সকল জায়গায় আলোর ব্যবস্থা করতে হবে, সিসিটিভ ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, বিশ্বস্ত, সৎ, নিষ্ঠাবান গার্ড নিয়োগ দিতে হবে।
পরে সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার হাসেম আলী বিক্ষোভ মিছিলকারীদের বলেন, তোমাদের বিরুদ্ধে শোকজ করা হবে। এ কথায় বিক্ষোভকারীদের তার উপর চড়াও হয়। এতে তিনি আহত হলে তাকে প্রথমে রুয়েট হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপতালে পাঠানো হয়। সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার হাসেম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার হাসেম আলী রামেক হাসপাতালে রয়েছে।
এসময় কর্মচারীরা সমিতির সভাপতি মহিদুল ইসলাম মোস্তফা বলেন, আমরা ইতিমধ্যে আমাদের দাবিগুলো রুয়েট প্রশাসনকে স্মারকলিপির মাধ্যমে জানিয়েছি। তারা আমাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছে। নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদৎ হোসন বলেন, তারা বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রুয়েটের শেখ হাসিনা হলের সামনে বাস চালক আব্দুস সালামকে কুপিয়ে হত্যা করে দৃর্বৃত্তরা। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আব্দুস সালামের (৫৫) বাড়ি রুয়েটের পাশ্ববর্তী দেবীশিংপাড়া এলাকায়। তবে তিনি রুয়েটের কর্মচারী কোয়ার্টারে থাকতেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ