নিজস্ব প্রতিবেদক:
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি বেলাল চৌধুরীর লাশ সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে নেয়া হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বাংলা একাডেমি থেকে কবির লাশ সেখানে নেয়া হয়।
আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কফিন রাখা হবে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
কবি বেলাল চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরে হাসপাতাল থেকে কবির লাশ নিয়ে যাওয়া হয় তার পল্টনের বাসায়। সেখানে গোসল শেষে লাশ রাখা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের হিমঘরে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় কবির লাশ বাংলা একাডেমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তাকে তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর শর্শদিতে দাফন করা হবে।
বেলাল চৌধুরী একাধারে কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রকাশিত ‘ভারত-বিচিত্রা’র সম্পাদক ছিলেন তিনি। রূপালী গ্রুপের ‘সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ’ পত্রিকাটিও তিনি সম্পাদনা করেন।
বেশ কয়েক বছর ভারতের কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’-এ চাকরি করেন।
২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পান। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও।
কবি বেলাল চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হল ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’ ও ‘বত্রিশ নম্বর’।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ