নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৩টি প্রতীক চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বরাদ্দ প্রতীকের মধ্যে রাজনৈতিক দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের জন্য ৩৯টি, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীদের জন্য ১২টি, সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ১০টি ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ১২টি প্রতীক চূড়ান্ত করা রয়েছে।
তবে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় প্রতীকেই নির্বাচনের প্রতীক হিসেবে আগে থেকেই চূড়ান্ত রয়েছে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরই প্রার্থীরা আজ থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তৎকালীন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় (তফসিল-২, ৩, ৪ ও ৫) উল্লিখিত প্রতীক চূড়ান্ত করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র মতে, রাজনৈতিক দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের জন্য চূড়ান্ত করা ৩৯টি প্রতীকের মধ্যে রয়েছে— নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গল, ছাতা, বাইসাইকেল, চাকা, গামছা, কাস্তে, কবুতর, কুঁড়েঘর, হাতুড়ি, কুলা, মশাল, তারা, গোলাপ ফুল, মই, গরুর গাড়ী, ফুলের মালা, বটগাছ, হারিকেন, আম, খেজুরগাছ, উদীয়মান সূর্য, মাছ, বাঘ, গাভী, কাঁঠাল, চাবি, চেয়ার, হাতঘড়ি, মিনার, রিকশা, হাতপাখা, মোমবাতি, হুক্কা, কোদাল, দেওয়াল ঘড়ি, হাত (পাঞ্জা) ও ছড়ি।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ১২টি প্রতীকের মধ্যে রয়েছে— ক্রিকেট ব্যাট, ঘোড়া, চরকা, টেবিল ঘড়ি, টেলিস্কোপ, ডিস এন্টেনা, দিয়াশলাই, ফ্লাক্স, বাস, ময়ূর, হরিণ ও হাতি।
সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ১০টি প্রতীকের মধ্যে রয়েছে— আনারস, গ্লাস, চশমা, জিপগাড়ী, ডলফিন, বই, বেহালা, মোবাইল ফোন, স্টিল আলমারি ও হেলিকপ্টার এবং সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত ১২টি প্রতীকের মধ্যে রয়েছে— এয়ারকন্ডিশনার, করাত, কাঁটা চামচ, ঘুড়ি, ঝুড়ি, টিফিন ক্যারিয়ার, ট্রাক্টর, ঠেলাগাড়ি, ব্যাডমিন্টন র্যাকেট, মিষ্টি কুমড়া, রেডিও ও লাটিম।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য নির্বাচন কমিশন ৭৩টি প্রতীক চূড়ান্ত করেছে। আজ প্রার্থীদের মধ্যে এসব প্রতিক বরাদ্দ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামতে পারবেন।
কেসিসির ভোটগ্রহণ ১৫ মে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ