নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দুটি টেন্ডারে উচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ দিয়ে পাঁচ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে রাসিককে চিঠি দিয়ে টেন্ডার সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে। রাসিকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে দুদকের রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক আব্দুল আজিজ ভূইয়া বলেন, আমি বাহিরে রয়েছি। অফিসে গিয়ে বিষয়টি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা বলা যাবে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রাসিক সূত্র জানায়, নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে ‘রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজের জন্য দুুটি গ্রুপে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। গত ২৭ ডিসেম্বর টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল গত ২৫ জানুয়ারি। দুটি গ্রুপে এই টেন্ডারের বিপরীতে মোট পাঁচটি দরপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল ’সেল ইউডিসি জেভি’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দর দেয় ‘র্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেড রাজশাহী’ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। তবে তাদের মধ্যে কাউকেই কাজ দেয়া হয়নি। কাজটি দেওয়া হয় উচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান মীর আক্তারকে। ফলে বাড়তি দরে কাজ দেওয়ায় রাসিকের অন্তত পাঁচ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হবে।
রাসিক সূত্র আরও জানায়, কাজ না পেয়ে দুদকের অভিযোগ করেন বঞ্চিত ঠিকাদাররা। এরপর দুদক বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। সম্প্রতি দুদকের পক্ষ থেকে রাসিককে চিঠি দিয়ে টেন্ডার সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে রাসিক থেকে কাগজপত্র দুদকে পাঠানো হবে।
এ নিয়ে রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে জানতে চাইলে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, দুদকের তদন্ত প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে তিনি বলেন, ‘টেন্ডার নিয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি। উন্নত কাজের স্বার্থে উচ্চ দরদাতা মীর আক্তারকে কাজ দেয়া হয়েছে। নিম্ন দরদাতাদের অভিজ্ঞতার কিছু ঘাটতি ছিল; তাই তাদের কাজ দেয়া হয়নি।’
দৈনিক দেশজনতা/এন আর