নিজস্ব প্রতিবেদক:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার দিন ধার্য থাকলেও তাকে আদালতে আনা হয়নি। কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাকে আদালতে আনা যায়নি বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান। আদালত বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরের জন্য আগামী ১০ মে দিন ধার্য করেছেন। রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
আজ ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক হারুন অর রশিদকে জেরার দিন ধার্য ছিল। তবে অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করতে পারেননি কারা কতৃপক্ষ। তাই পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ মে নতুন দিন ধার্য করা হয়। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করা হয়। দুদকের করা ওই আবেদনের ওপর ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। শুনানি শেষে ১৩ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর ২৮ মার্চ ও ৫ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়াকে হাজিরের দিন ধার্য থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে হাজির করা হয়নি বলে আদালতকে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। এর আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ৭ বছর কারাদণ্ড দাবি করে দুদক প্রসিকিউশন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আর অপর দুই আসামি জামিনে আছেন।
প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জারিমানা করে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই বেগম খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। প্রথম শ্রেণীর কারাবন্দি হিসেবে বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি