নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় সংসদের বিভিন্ন আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
শনিবার ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এই শুনানি শুরু হয়। এসময় সিইসি কে এম নুরুল হুদাসহ অন্য কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, খসড়া সীমানাটি ভৌগোলিক কারণে অযৌক্তিক। এটা কার্যকর হলে আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের চার ঘণ্টা নদীপথ পার হয়ে সংসদ সদস্যের কাছে যেতে হবে। যার ফলে আমরা আগের সীমানায় যেতে চাই।
এদিকে কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার (বীর বিক্রম) বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দশম সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সংসদীয় আসন যেরকম ছিল, কমিশনের খসড়ায় তাই আছে। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে। কমিশন যে খসড়া করেছে আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আমরা চাই, সীমানা যেন এভাবেই বাস্তবায়ন হয়।
প্রসঙ্গত, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের জন্য নির্বাচন কমিশন গত ১৪ মার্চ ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে ৩০০ আসনের খসড়া গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করে। এর পক্ষে বিপক্ষে দাবি ও আপত্তি গ্রহণ করে কমিশন। এতে আপত্তি জানিয়ে ৪০৭টি এবং ইসির পক্ষ সমর্থন করে ২২৪টি আবেদন জমা পড়ে। এসব আপত্তির পর গতকাল শনিবার থেকে শুনানি শুরু হলো। আগামী ২৩ এপ্রিল খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের, ২৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম এবং ২৫ এপ্রিল ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন আসনের শুনানি হবে। শুনানি শেষে ৩০ এপ্রিল চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের কথা রয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ