নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চাঁদার দাবিতে গুণ্ডামি করলেও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নেতা মো. নুরুল আজিম রনিকে তার সংগঠন ও দল আওয়ামী লীগ থেকে পুরস্কৃত করা হবে। যেমনটি ছাত্রীর রগ কেটেও সম্মানিত হয়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী এশা।
উল্লেখ্য, ইউনিএইড নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারের চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ মিয়াকে (৩৮) তার অফিসে চড়-থাপ্পড় মারেন ছাত্রলীগ নেতা রনি। গত ১৭ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে রনি তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন বলে রাশেদ মিয়া চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে ছাত্রলীগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘চাঁদার দাবিতে চট্টগ্রামে একটি কোচিং সেন্টারের মালিকের ওপর মহানগর ছাত্রলীগ নেতা রনির অমানবিক নির্যাতনের দৃশ্য বিশ্ব দেখেছে। এই ছেলেটিই শিক্ষককে পিটিয়ে রেহাই পেয়েছে। অবৈধ অস্ত্রসহ ধরা পড়লেও সাজা পাননি।’
তিনি বলেন, ‘দল থেকে অব্যাহতির পর যারা উৎফুল্ল হচ্ছেন, তারা জেনে রাখুন- রনিও ছাত্রলীগের রগকাটা নেত্রী এশার মত তিরস্কারের পরিবর্তে পুরস্কৃত হবেন। শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অবৈধ টাকা অর্জন। আর এটি করতে গিয়েই ছাত্রলীগের এমন বাড়-বাড়ন্ত। এটাই হলো শেখ হাসিনার আইনের শাসন, সুশাসন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের নমুনা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে রিজভী প্রশ্ন রাখেন, ‘এসবের দায় কী আপনাদের ওপর বর্তায় না?’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যা আরও বেড়েছে। তিনি চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। আমরা আবারও তাকে তার পছন্দ অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের গড়িমসি সহ্য করা হবে না। জনগণের রুদ্ররোষ থেকে কেউই রেহাই পাবে না। আমি আবারও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন- ‘টেকসই শান্তি এবং স্থিতিশীলতার ভিত্তি হচ্ছে গণতন্ত্রের উন্নয়ন, সুশাসন ও আইনের শাসন’। তার এই বক্তব্য শুনে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা নিশ্চয়ই বিস্ময়ে হতবাক হয়েছেন! কারণ, তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।’
হল থেকে ছাত্রীদের বিতাড়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের গভীর রাতে হল থেকে সম্পূর্ণ অমানবিক আচরণের মাধ্যমে বের করে দেয়া হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসে ন্যাক্কার ও কলঙ্কজনক ঘটনা হয়ে থাকবে।’
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

