নরসিংদী প্রতিবেদক:
নরসিংদীতে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র খোরশেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্কুল শিক্ষিকা আনিছা সুলতানা এ্যামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদী জেলা ও দায়রা
জজ ফাতেমা নজিব এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমএন অলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, একই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকতার সুবাধে খোরশেদ ও আরিফা সুলতানা এ্যামির সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সুবাধে এ্যামির বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন খোরশেদ। ২০১৫ সালের ২২
সেপ্টেম্বর রাতে এ্যামির বাসায় গেলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাধে। এক পর্যায়ে এ্যানির বটির কোপে মারা যায় খোরশেদ আলম। পরে তার লাশ ৬ টুকরো করে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে এ্যামি। ঘটনার পরদিন লাশের হাত পা ও মাথা পুরানপাড়া এলাকার হাড়িধোয়া নদীতে ফেলে দেয়া হয়। মস্তকবিহীন বস্তাবন্দী লাশটি ঘোড়াদিয়া এলাকার হাড়িধোয়া নদীতে ফেলার সময় স্থানীয়রা এ্যানিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বেদন মিয়া বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় আনিছা সুলতানা এ্যানিকে প্রধান আসামিসহ ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে করে একটি হত্যা মামলা করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে, শিক্ষিকা অ্যামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং দোষ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস দেন আদালত।
এ্যামি শহরের ঘোড়াদিয়া মহল্লার সৌদী আরব প্রবাসী গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা। নিহত খোরশেদ আলম রায়পুরা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে। তিনি নরসিংদী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও একই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন
দৈনিক দেশজনতা /এন আর