রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী মহানগর যুবলীগের এক নেতার একটি অশ্লীল ভিডিওচিত্র বিভিন্নজনের মোবাইলের মাধ্যমে হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিওতে একটি কিশোর ছেলের সঙ্গে সমকামিতায় লিপ্ত থাকতে দেখা গেছে তৌহিদুল হক সুমন নামের ওই যুবলীগ নেতাকে। সুমন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অশ্লীল এই ভিডিও নিয়ে মহানগর যুবলীগসহ রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তোলপাড়। তবে ভিডিও প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা বলে দাবি করেছেন সুমন। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও দাবি করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহখানেক ভিডিওটি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর সেটি সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু অনেকেই সেখান থেকে ভিডিওটি ডাউনলোড করে নেন। এরপর তা এলাকার অনেকেরই মুঠোফোনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যুবলীগ নেতা সুমন এই ওয়ার্ড থেকে আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টিটো বলেন, সুমনের অশ্লীল ভিডিও ফাঁসের বিষয়টি তিনি জানেন। ভিডিওতে যে কিশোরকে দেখা যাচ্ছে সে তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা না। ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা তাও বোঝা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি প্রশাসনের তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। জানতে চাইলে তৌহিদুল হক সুমন বলেন, এ ধরনের কাজ আমি করতে পারি না। ভিডিওটি প্রযুক্তির সাহায্যে বানানো। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এটি নিয়ে আমি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে প্রতিপক্ষরা এমন একটি ভিডিও ছড়িয়েছে।
মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী বলেন, তিনদিন আগে ভিডিওটির ব্যাপারে আমি জানতে পেরেছি। কিন্তু আমি সিনিয়র হওয়ায় অন্য কোনো নেতা ভিডিওটি আমাকে দেখানোর সাহস পাচ্ছে না। বিষয়টি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে। ভিডিওটি সত্য হলে সুমনকে বহিষ্কার করা হবে। তার জন্য দলের বদনাম করবে না যুবলীগ।