আতিকুর রহমান, গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরে এক কিশোরীকে ‘অপহরণের’ পর দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৮ এপ্রিল বুধবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১৭ বছর বয়সী মেয়েটিকে গাজীর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতার মামা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
তার বাড়ি ময়মনংহের ত্রিশালে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি সাংবাদিকদের বলেন, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কালার মাস্টারবাড়ি এলাকার একটি পোশাক কারখানার কাজ করার সময় তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে মোঃ শামীম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
পরে ওই বান্ধবীর কাছ থেকে তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে শামীম বিভিন্ন সময় তাকে মোবাইলে প্রেমের প্রস্তাব দিত।
কিন্তু সাড়া না দেওয়ায় শামীম তাকে অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ করেন মেয়েটি।
মেয়েটি আরও বলেন, এক পর্যায়ে শামীমের ভয়ে ভালুকা থেকে চাকরি ছেড়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় খালার বাড়ি চলে আসি। এরপরও শামীম মোবাইলে ফোন করে আমাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত।
শ্রীপুর থানার এসআই মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, গত শনিবার বিকালে মেয়েটির তার খালার বাসা থেকে বের হলে শামীমসহ আরও ৪/৫জন তাকে ‘অপহরণ’ করে।
তারা মেয়েটিকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে প্রথমে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ও ময়মনসিংহের ভালুকায় নিয়ে যায়। এরপর রবিবার রাতে তারা মেয়েটিকে নিয়ে শ্রীপুরের ওয়াদ্দার দিঘী এলাকায় আসে।
সেখানে মেয়েটিকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রেখে শামীম ও তার সহযোগীরা তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
মেয়েটি যাতে পালিয়ে যেতে না পারে তাই ধর্ষণের পরে তার মুখে কাগজ গুজে ও হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হত বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান ।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে মেয়েটিকে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে’ একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যায় শামীম। পরে তাকে বস্তা থেকে বের করে ওই বাড়ির একটি ঘরের আটকে রাখে।
মঙ্গলবার বিকালে মেয়েটি কৌশলে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘটনাটি স্থানীয়দের জানায়। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মেয়েটির মামা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। শামীমকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান এসআই।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ