আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি বারবারা বুশ আর নেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৯২ বছর বয়সে হাটসনের বাসায় তিনি মারা যান। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এইচ ডব্লিউ বুশের স্ত্রী এবং জর্জ ডব্লিউ বুশের মা ছিলেন তিনি। এ ছাড়া নিজে ছিলেন স্বাক্ষরতা অভিযানের অগ্রদূত। নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, তার পারিবারিক মুখপাত্র জিম ম্যাকগ্রাথ টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি ফার্স্ট লেডি ছিলেন। দীর্থদিন থেকেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মায়ের মৃত্যুর খবর জানিয়ে জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছেন, ‘আমার প্রিয় মা ৯২ বছর বয়সে চলে গেছেন। লরা, বারবারা, জেনা এবং আমি শোকাহত। কিন্তু আমরা স্থিতিশীল আছি, কারণ আমরা তাকে জানি। বারবারা বুশ ছিলেন এক অসাধারণ ফার্স্ট লেডি ও নারী। তার মতো লাখ কোটি মানুষের ভালবাসা কেউ অর্জন করতে পারেনি।’ এর আগে রোববার তার স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের অফিস থেকে এক বিবৃবিতে বলা হয়, পরিবার ও চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শ করে বারবারা আর কোনো চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বরং কমফোর্ট কেয়ারে থাকাকেই তিনি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর জানুয়ারিতে বুশ দম্পতি ৭৩তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের ইতিহাসে প্রথম। বারবারা বুশ ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে ২০০৮ সালে আলসারের জন্য তার অস্ত্রোপচার করা হয়। এর চার মাস পর হার্টের অপারেশন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম প্রেসিডেন্টের স্ত্রী এবং ৪৩তম প্রেসিডেন্টের মা ছিলেন বারবারা বুশ। দেশটির ইতিহাসে আরো একজন নারী প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ও মা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। তিনি হলেন আবিগেইল অ্যাডামস। তার স্বামী ছিলেন জন অ্যাডামস ও পুত্র ছিলেন জন কুইন্সি অ্যাডামস।
এ ছাড়া বারবারার আরেক ছেলে হলেন জেব বুশ। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ফ্লোরিডার গভর্নর ছিলেন। এ ছাড়া ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। বারবারা বুশ ছিলেন স্পষ্টভাষী, সংগ্রামী, অদৃশ্য প্রভাবশালী, রোমান্টিক এবং আজীবন স্বেচ্ছাসেবক।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি