খুলনা প্রতিনিধি:
হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের মনোনয়ন বাতিল পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে কেসিসি নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এ অভিযোগ দাখিল করেছেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ‘তালুকদার আবদুল খালেক সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, নওয়াপাড়া-ফকিরহাটের ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেডের পরিচালক।
এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেন। ইস্টার্ন পলিমারের ঋণ তথ্যও তার হলফনামায় উল্লেখ করেন নাই। এছাড়া মনোনয়নপত্রে তাহার ভোটার নম্বর উল্লেখ করেন নাই।’
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন (সিটি কর্পোরেশন) বিধিমালা ২০১০’এর ১২ ধারা অনুযায়ী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা দাখিল করার বিধান আছে।
হলফনামায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করিলে বা তথ্য গোপন করিলে তার প্রার্থিতা বাতিলের বিধান আছে। মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক হলফনামায় নিজ পেশা ও ব্যবসার তথ্য গোপন করেছেন।
বিষয়টি তদন্ত করে তার মনোনয়ন বাতিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় অভিযোগপত্রে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় আমরা উপস্থিত সব প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের কাছে শুনেছি। এ ব্যাপারে কারও কোনো আপত্তি আছে কিনা-তখন কেউ কোনো আপত্তি দেননি। ফলে আমরা মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছি। ওই সময় আপত্তি না দিয়ে এখন লিখিত অভিযোগ দিলে আমাদের কিছু করার নেই।
প্রসঙ্গত, হলফনামায় মৎস্য ও ঘের ব্যবসাকে নিজের পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তালুকদার আবদুল খালেক।
হলফনামায় কৃষি খাত থেকে তিনি আয় দেখিয়েছেন এক লাখ ৩০ হাজার টাকা, মৎস্য ঘের থেকে আয় ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩শ’ টাকা, ব্যাংক সুদ থেকে আয় ৮ লাখ ৫১ হাজার ৫৮০ টাকা এবং সংসদ সদস্য হিসেবে পারিতোষিক ভাতা পেয়েছেন মোট ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭৫ টাকা।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ