নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এক প্রাক বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জরিমানা দিয়ে এ বছরও বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে।বাজেট এলেই সাধারণত আলোচনায় আসে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার বিষয়টি। এবারও কালো টাকা সাদা করতে আগামী পাঁচ বছর আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ চেয়েছে আবাসন খাতের সংগঠন রিহ্যাব। একইসঙ্গে ফ্ল্যাট, প্লট রেজিস্ট্রেশনে সংশ্লিষ্ট কর ও ফি ৭ শতাংশ করার মোট ১২টি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা প্রতিবছর বিষয়টি নিয়ে আপত্তিও তোলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। এর মানে হলো অপ্রদর্শিত অর্থ মূল অর্থনীতিতে নিয়ে আসা।অ
অনুষ্ঠানে রিহ্যাবের প্রথম সহ-সভাপতি লেয়াকত আলী ভুইয়া বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ সুবিধার পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন ব্যয় নির্ধারণ করে আবাসন খাতে সেকেন্ডারি বাজার ব্যবস্থার প্রচলন করতে হবে।‘এছাড়া রেজিস্ট্রেশন ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি, গেইন ট্যাক্স কমিয়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ করা, সাপ্লায়ার ভ্যাট ও উৎসে কর সংগ্রহের দায়িত্ব থেকে ৫ বছরের ডেভেলপারদের অব্যাহতি এবং আবাসন খাতে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে দীর্ঘমেয়াদী রি-ফিন্যান্সিং সুবিধা চালু এবং ২০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনের প্রস্তাব করছি।’
দৈনিক দেশজনতা /এন আর