নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তাকে ৬৮ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ভুয়া ঋণ জালিয়াতির পৃথক চার মামলায় কারাদণ্ডের সঙ্গে তাদেরকে চার কোটি দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চার কোটি রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দিতে হবে। তবে পৃথক দুই মামলায় দুইজনকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এই আদেশ দেন।
ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের শেষ দিকে সংকটে পড়ে তৎকালীন ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। পরে ২০০৯ সালে মালিকানা হাতবদলে ব্যাংকটির নতুন নাম হয় আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সব দায় ও সম্পত্তি গ্রহণ করে এই ব্যাংক।
আসামিদের মধ্যে ওরিয়েন্টালের প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. হারুন, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আবুল কাশেম মাহমুদুল্লাহ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম ও অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফজলুর রহমানকে চার মামলায় মোট ৬৮ বছরে সাজা দিয়েছে আদালত।
অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত ওই ব্যাংকের গ্রাহক মেসার্স আফজউদ্দিন ট্রেডার্সের মো. সালাউদ্দিন এবং নূর অ্যন্ড সনস এর তরিকুল ইসলামকে এক মামলায় ১৭ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে।
আর ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা (ডিজিএম) পরিচালক ইমামুল হক চার মামলাতেই খালাস পেয়েছেন। আসামিদের মধ্যে কেবল তিনিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকি সবাই পলাতক বলে এ আদালতের পেশকার মোককারম হোসেন জানান। পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
২০০৫-০৬ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থেকে আনুমানিক ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিভিন্ন থানায় মোট ৩৪টি মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার যে চার মামলার রায় হল, সেগুলো দায়ের করা হয়েছিল মতিঝিল থানায়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালে এসব মামলায় অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ