মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ মুহূর্তে যদি জেলখানা থেকে মুক্তি দেয়ও, তবে জীবীত মুক্তি দেবে না এই সরকার। জেলের তালা কীভাবে ভাঙতে হয়, এদেশের জনগণ তা বুঝিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যারা জেলে পাঠিয়েছে, তাদেরকে ক্ষমতায় রেখে এদেশে গণতন্ত্রের কোনও ভবিষ্যৎ নাই।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, অনেকেই যুক্তি দেখাচ্ছেন নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো। আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাই, আন্দোলনের কৌশল হিসেবে।
তিনি বলেন, এমন কথাও এখন শোনা যাচ্ছে, সরকার নাকি ৩০-৯০টি আসন বিএনপিকে দিতে চায়; এ কথার প্রেক্ষিতে গয়েশ্বর বলেন- আমি জানতে চাই, জাতীয় সংসদের আসনগুলোর মালিক কি শেখ হাসিনা? যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে আমরা গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করছি কেন? আন্তর্জাতিক মহল বিরোধী দল বলতে এখনও বিএনপিকে চেনে। আমাদের কৌশল এখন একটাই হওয়া উচিত আর তা হলো, জনগণকে নিয়ে রাস্তায় নামা। এর ফলাফল অবশ্যই দৃশ্যমান হবে।
ঐক্যের কোনও বিকল্প নাই উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সেই ঐক্য মান্নান ভূঁইয়ার মতো আলোচনা নামক নাটকের মতো নয়। আগে ঠিক করতে হবে, এরকম পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে যাবো কিনা? আমরা যদি নির্বাচনে যাই, তাহলে ২০১৪-তে কেন গেলাম না নির্বাচনে? আমরা সব সময় নিরপেক্ষ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছি, এ দেশের মানুষও তাই চায়। এই দাবি আদায়ের পর আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা নির্বাচনে যাবো কিনা। এজন্য কেউ কেউ আমাকে বলেছেনও ‘চুপচাপ থাইকেন’।
অনেকেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির চেয়ে নির্বাচনকে জরুরী ভাবেন এমন দাবি করে গয়েশ্বর রায় বলেন, আমি যখন জেলে ছিলাম, তখন কালো পতাকা মিছিলসহ নানা কর্মসূচির কথা পত্রিকায় পড়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে দেশনেত্রীর মুক্তির চেয়ে নির্বাচন বেশি জরুরী। যদি এভাবেই আন্দোলন করে যান, তাহলে সরকার কী কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে? আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যদি জনগণকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ দিতে পারি, তাহলে বিএনপি যে আসনে দাঁড়াবে প্রত্যেক আসনেই জয়লাভ করবে।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ