আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ায় রাসায়নিক স্থাপনা ধ্বংসের নামে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ক্যানসারের ওষুধ তৈরি করা হতো।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, শনিবার হামলা শুরুর প্রথম দিকেই দামেস্কের বারজাহ এলাকায় একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রসহ তিনটি রাসায়নিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু তারা যেসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে তার মধ্যে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে যা ক্যানসার চিকিৎসার ওষুধ তৈরি করত।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ায় ক্যানসার ও জটিল কিছু রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ওষুধের মারাত্মক অভাব দেখা দিয়েছে। বারজাহ এলাকার ওই প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল ‘দ্য ইনস্টিটিউশন ফর দ্য ডেভলপমেন্ট অব ফারমাসিউটিক্যাল অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ’। ইনস্টিউটের প্রধান সাঈদ সাঈদ বলেন, এটা একসময় রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত কিন্তু এখন সেটা ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছিল।
তিনি বলেন, ‘সিরিয়া সংকট শুরুর পর পশ্চিমা নিধোজ্ঞা আরোপের কারণে দেশে সব ধরনের ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিদেশি কোম্পানিগুলো সিরিয়ার কাছে উঁচু ক্ষমতাসম্পন্ন ওষুধ বিশেষ করে ক্যানসার চিকিৎসার ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে আমরা ক্যানসার চিকিৎসার ওষুধ তৈরির জন্য এই প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করে আসছিলাম এবং আমরা তিনটি ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।’
সাঈদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রর দাবি অনুসারে যদি এই প্রতিষ্ঠানে রাসায়নিক অস্ত্র থাকতো তাহলে হামলার পর তিনি এই প্রতিষ্ঠানে থাকতেন না। সাঈদ জানান, হামলার পর তিনি ভোর ৫টায় গবেষণা কেন্দ্র এসেছেন। কিন্তু যদি রাসায়নিক অস্ত্র থাকতো তাহলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তিনি ও তার সহকর্মীরা সেখানে যেতেন না এবং অবশ্য মুখোশ পরার প্রয়োজন হতো।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি