২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৪৪

শিকড় সন্ধানে ছায়ানটের বর্ষবরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলা দিনপঞ্জিকায় আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে নতুন বছর ১৪২৫ সনের দিন গণনা। ঐতিহ্য অনুযায়ী আজ ভোরে রমনার বটমূলে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে ছায়ানট। ছায়ানটের বর্ষবরণের এবারের বিষয় শিকড়ের সন্ধান। তাই তাদের বর্ষবরণের গানে, কবিতায় বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান করে ছায়ানটের শিল্পীরা। এতে বাঙালি জাতিকে নতুন করে জেগে ওঠার তাগিদ দেয়া হয়েছে।

বরাবরের মতো এবারও ভোর সোয়া ৬ টার দিকে ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হয়। আয়োজন শেষ হয় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে। এবারও একক গান,কোরাস গান, আবৃত্তি ও পাঠ দিয়ে সাজানো হয় ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। পুরো আয়োজনে প্রায় ১৫০ জন শিল্পী অংশ নেন।

অনুষ্ঠান শুরুর বেশ আগে থেকে এ বটমূলকে ঘিরে জড়ো হলো অগনিত সংস্কৃতিপ্রাণ মানুষ। সূর্য ফোটার আভা ধরে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতারা বুঝি শহরের প্রতিটি কোনা থেকে বেরিয়ে পড়েছিল, ক্রমশ জড়ো হতে থাকলো রমনার বটমূলে; সুরে সুরে বঙ্গাব্দ- ১৪২৫ সালকে বরণ করে নিতে।

শনিবার সকাল সোয়া ৬টায় সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই রমনার বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে শুরু হয় বর্ষবরণের প্রভাতী আয়োজন। হলুদ সবুজ পোশাকে প্রায় দেড় শতাধিক শিল্পী তাদের সুর-ছন্দ আর তাল-লয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় ৫১ বছরে পা রাখা ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির শিল্পীরা। ছায়ানটের এই আয়োজনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘আনন্দ, আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও মানবতা।

ছায়ানটের শিল্পী-কর্মীদের জন্য বটমূল সংলগ্ন সামান্য জায়গা ছাড়া প্রায় গোটা প্রাঙ্গনই উন্মুক্ত রয়েছে সবার জন্য। বটমূলের বর্ষবরণ আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে সার্বক্ষণিক সহায়তা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ছায়ানটের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভোর থেকে হাজারো মানুষ ভিড় করে রমনা বটমূলে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুরো রমনা লোকে লোকারণ্য। ‘রমনার বটমূলে দেখা প্রাণ খুলে’-এই যেন তাদের আত্মার আকূতি।

শিল্পীদের গানের তালে তালে মনের সব জীর্ণতাকে মুছে ফেলে নতুন বছরে নিজেদের নতুন করে সাজানোর গল্প আঁকতে থাকেন উপস্থিত বৈশাখ বরণকারীরাও।

বরাবরের মতো এবারের আয়েজনটিও সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে ফি-বছরই রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানট আয়োজন করে বর্ষবরণের উৎসব। নববর্ষের প্রথম দিন ভোর থেকে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসতে থাকে মানুষ। ঐতিহ্যবাহী এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভিড় জমায় অনেক বিদেশি দর্শনার্থীও।

দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ

প্রকাশ :এপ্রিল ১৪, ২০১৮ ১:৫৮ অপরাহ্ণ