মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে সরকারের পরাজয় হয়েছে।
তিনি বলেন, দাবি যৌক্তিক হওয়ায় এবং শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে সরকার তা মানতে বাধ্য হয়েছে। এটা শিক্ষার্থীদের জয় এবং সরকারের পরাজয় বলেও মন্তব্য করেন ড. মোশাররফ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নাগরিক কণ্ঠ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সারা দেশসহ বিশ্ববাসী দেখেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দমন করতে সরকার কীভাবে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলনকারী কোমলমতি শিক্ষারর্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। সরকার কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিতে চায়নি। আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে, রাবার বুলোট নিক্ষেপ করেছে, বহু আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করেছে। এতে বোঝা যায় সরকার তাদের দাবি মানতে চায়নি, নির্যাতন করে দমন করতে চেয়েছিল সরকার।
‘যদি কোটা প্রথা সংস্কার করা হয় তাহলে রাজাকারের বাচ্চারা চাকরি পাবে’ কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এ বক্তব্যের পরিপেক্ষিতে ড. মোশররফ বলেন, সবকিছুর পরও যখন তাদের ধামাচাপা দেয়া সম্ভব হয়নি তখন তাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বক্তব্য দিলেন, ‘কোটাই ব্যবস্থাই আর রাখা হবে না’।
‘ঢাবির সাদা দলের শিক্ষকদের প্রতি কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে তাদের সহযোগিতা করার কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান’ এ কথা উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এতে অন্যায়ের কী আছে? দলের প্রধান হিসেবে তিনি সমর্থক বা নেতাকর্মীকে এমন কথা বলতেই পারেন। আমরাতো এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছি- কারণ এটা যৌক্তিক আন্দোলন। সরকার বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। সরকার জনগণের আন্দোলন ও কথা বলাকে ভয় পায়। এই ভয়ের কারণেই একটি মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছে এবং তাঁর কারাবাস দীর্ঘ করার ষড়যন্ত্র করছে বলেও মন্তব্য করেন ড. খন্দকার মোশাররফ।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, জনগণ বিএনপির সঙ্গে রাস্তায় নামার অপেক্ষায় রয়েছে। আন্দোলন যদি যৌক্তিক হয় তাহলে সেই আন্দোলনকে শত চেষ্টা করেও ধামাচাপা দেয়া যায়না। যেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমেছেন সেভাবেও বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে জনগণও রাস্তায় নামার অপেক্ষায় আছে। বিএনপির আন্দোলন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার। এই আন্দোলনে জনগণের স্বার্থ আছে। তাই তারাও বিএনপির সঙ্গে মাঠে নামার জন্য অধির অপেক্ষা করছে।
আলোচনা সভায় নাগরিক কণ্ঠের আহ্বায়ক সাংবাদিক রমিজ খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিনুর রশিদ ইয়াছিনসহ আরও অনেকে।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর