নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় কমিটি।
জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান তারা। তারা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে গেজেট প্রকাশের আগ পযন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা গেজেট আকারে প্রকাশের দাবি জানান। তারা প্রধানমন্ত্রীকে মাদার অব এডুকেশন ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেয়ার দাবি জানান।
তারা এটাও বলেন, শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হলে তারা আবার মাঠে নামার হুমকি দেন। পাশাপাশি তারা ভিসির বাড়িতে হামলাকারীদের শাস্তিও দাবি করেন। অবশ্য মিডিয়া সূত্রে সতাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল, পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক চাকরিতে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পর কোটা নিয়ে আন্দোলন করা সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলন স্থগিত করবে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত রবিবার থেকে বড় আকারে আন্দোলন শুরু হয়। বুধবার শাহবাগ এবং ঢাকার অন্যত্র সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে সরব হন। দেশের নানা জায়গায় সড়ক অবরোধ হয় এ দাবিতে। ঢাকায় আন্দোলনকারীরা কোটা সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দাবি করেন। দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা দেখা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের কোটা বাতিলের কথা বলেছেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ইউনিভার্সিটিগুলোতে ক্লাস বন্ধ। পড়াশোনা বন্ধ। এরপর আবার ভিসির বাড়ি আক্রমণ। রাস্তাঘাটে যানজট। মানুষের কষ্ট। সাধারণ মানুষের কষ্ট। সাধারণ মানুষ বারবার কষ্ট পাবে কেন? এই বারবার কষ্ট বন্ধ করার জন্য, আর বারবার এই আন্দোলনের ঝামেলা মেটাবার জন্য কোটাপদ্ধতি বাতিল। পরিষ্কার কথা। আমি এটাই মনে করি, সেটা হলো বাতিল।’
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীসহ অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটাপদ্ধতিরই দরকার নেই। যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, তাদের অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারব। এই আন্দোলন যারা করেছে, যথেষ্ট হয়েছে, এখন তারা ক্লাসে ফিরে যাক।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি