নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলতি অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রশ্নের জবাব দিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুম্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, বিশ্ব ব্যাংকে মে পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। তারা এই সময়ের মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ও সংশয় প্রকাশ করেছে, তা নিয়ে আলোচনা করবে। এরপর নিজেদের রিপোর্ট আবার রিভিউ করবে।
বিশ্বব্যাংকের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, জিডিপি নিয়ে আমরা যে ফিগার দিয়েছি (৭.৬৭)এটাই সঠিক। আমাদের ফিগার সঠিক। তিনি বলেন, অর্থবছর শেষে (২০১৭-১৮) প্রবৃদ্ধি এর চেয়েও বেশি হবে। আমরা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরো(বিবিএস)-এর সহায়তায় এই ফিগার দিয়েছি। নয় মাসের তথ্য রয়েছে এখানে। আর বিশ্বব্যাংক দিয়েছে ৫ মাসের তথ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক ছাড়া আর কেউ আমাদের তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেনি। বিশ্ব ব্যাংক সব সময় এই কাজটি করে। বছরের প্রথম দিকে প্রবৃদ্ধি নিযে তারা দ্বিমত পোষণ করে, বছর শেষে আবার সেটা মেনে নেয়। এটা কেন।
মন্ত্রী বলেন, বিবিএস হচ্ছে ফাইনাল অথরিটি তাদের মানতে হবে। কারো কোন বিষয়ে সংশয় থাকলে বিবিএসে যান, আলোচনা করেন।
উল্লেখ, গত সোমবার এক প্রতিবেদনে বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৬৫ হবে বলে জানিয়েছে। একই সঙ্গে, সরকারের ঘোষিত প্রবৃদ্ধি ৭.৬৫ কিভাবে হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তারা।সরকারের এই তথ্যের অনেক কিছুই আবারও বিশ্লেষনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করে বিশ্ব ব্যাংক।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বব্যাংককে বলবো আপনারা বিবিএস-এর নিকট বসুন তারপরে তথ্য দিন। আমি বিশ্বাস করি আমাদের তথ্যের ফিগার সঠিক। তাদেরও উচিত এগুলো বিশ্বাস করা।’
মন্ত্রী বলেন, আমরা যে ঘোষণা দিয়েছি ৭ দশমিক ৬৫ প্রবৃদ্ধি হবে, এই নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও এডিবিও কথা বলেছেন। এই নিয়ে আরো অনেকে বলছেন, বলবেন। যেখানে সরকারের ব্যত্তয় থাকে সেই বিষয়ে বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠী ও অর্থনীতিবিদের যে প্রস্তাব দেয় সরকার তা গ্রহণ করে।
প্রসঙ্গত বুধবার চলতি অর্থবছর শেষে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। মিট দ্যা প্রেসে আরো উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব মফিজুল ইসলাম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিয়াউল ইসলাম, বিবিএস সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) জুয়েনা আজিজ প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ