নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রথা একেবারে বাতিলের যে ঘোষণা করেছেন তাকে একটি ‘হটকারী’ সিদ্ধান্ত বলে মনে করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, ন্যাপ-ভাসানী।
২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আজহারুল ইসলাম বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোটা বাতিলের ঘোষণায় যারা এতদিন কোটা পদ্ধতিতে সুবিধাভোগী ছিল তাদেরকে আন্দোলনে উস্কে দেওয়ার শামিল। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কোটা প্রথা সব বাতিল না করে অন্তত পক্ষে ১৯% নিয়োগ কোটা প্রথা-এর মধ্যে রাখা বাস্তবিক বলে মনে করি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে যে আন্দোলন চলছে। এরপর বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিই থাকবে না, কোটারই দরকার নাই।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার বিকেল ৫টায় অধিবেশন শুরু হয়। কোটাসংস্কার নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় ১৪ দলের অন্যতম শরিক জাসদও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা বাতিলের যে কথা বলেছেন, তা ‘বাস্তবতার নিরিখে হয়নি’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাসদ।
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বুধবার আওয়ামী লীগের জোট সঙ্গী দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই প্রতিক্রিয়া আসে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, “সারাদেশের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী গত কয়েকদিন ধরে মেধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রচলিত কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়েছে। কিন্তু তাদের আন্দোলনকে নেতিবাচকভাবে নিয়ে ঢালাওভাবে কোটা বাতিলের ঘোষণা বাস্তবতাকে বিবেচনায় না নিয়ে আবেগের বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করি।”
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কোটা এখনকার ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রতিক্রিয়া জানাবেন তারা।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ