ভারতের উত্তর প্রদেশে গরুর জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। একই দিনে প্রদেশের এটাওয়াহতে এক দিন মজুর তার ১৫ বছরের সন্তানের মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে ঘাড়ে করে ঘরে ফিরেছেন।
সোমবার গোবংশ মোবাইল ভ্যান নামের গরুর এই অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে অসুস্থ ও আহত গরুকে গো শালা বা গরুর আশ্রয়কেন্দ্র বা পশু চিকিৎসাকেন্দ্রে নেয়ার জন্য। বিজেপি উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করার পর থেকে গো রক্ষা কার্যক্রম ব্যাপক গতি এসেছে। গরুর মাংস খাওয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি অবৈধ কসাইখানার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার।
একই দিনে এটাওয়ার সরকারী হাসপাতালে ১৫ বছরের গুরুতর অসুস্থ ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন দিনমজুর উদয়বীর সিং। জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার উদয়বীরকে জানান যে তাঁর ছেলে পুষ্পেন্দ্রর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিককে উদয়বীর সিং জানিয়েছেন, ‘ডাক্তার মাত্র ৫ মিনিট দেখেই বলে দিল যে ছেলে মারা গেছে, ওকে নিয়ে যাও। দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে কোন অ্যাম্বুলেন্স বা কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়নি। গাড়ি ভাড়া করার ক্ষমতা নেই আমার, তাই বাধ্য হয়েই ছেলের দেহ কাঁধে চাপিয়ে বাড়ি ফিরেছি।’
শুধু উত্তর প্রদেশই নয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে গো রক্ষায় বিশেষ আইন করা হয়েছে। সেখানে গো হত্যার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। হরিয়ানা রাজ্যে গরু পাচার ও হত্যা বন্ধে ১৪ ঘণ্টার সরকারি হেল্পলাইন চালু করা হয়। শুধু তাই নয় কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের মত গরুরও জাতীয় পরিচয়পত্র করার কথা ভাবছে।
উত্তর প্রদেশই প্রথম কোনো ভারতীয় রাজ্য নয় যেখানে গরুর জন্য অ্যাম্বুলেন্স চালু করা হল। ঝাড়খণ্ডে একজন শিল্পপতি গরুর জন্য ১০টি অ্যাম্বুলেন্স দান করেছেন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে ১ লাখ মানুষের জন্য একটি হাসপাতাল রয়েছে। বিবিসি পোস্ট।