বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
সৌদি আরবে প্রায় ৮৫ হাজার বছর আগেও আধুনিক মানুষের বসবাস ছিল। নতুন একটি গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি দেশটির আল ওয়াস্তা এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত হোমো স্যাপিয়েন্স বা মানব হাড়ের রেডিও আইসোটোপ পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এই ধারণা করছেন।
বিজ্ঞানী ড. হাও গ্রোকাট জানান ‘এটা স্বাভাবিক, সে সময়ে বসবাসকারী মানব বা অন্য প্রাণির বেশিরভাগই কোনো চিহ্ন না রেখে বিলুপ্ত হয়ে গেছে’।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে, এরকম একটি টুকরা পেয়েছি। হয়তো একজনের এরকম একটি টুকরা থেকে এখনই কিছু বলা যাবে না, তবে এ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে’।
ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ওই হাড় থেকে বিজ্ঞানীরা পুরো হাতের একটি নকশা তৈরি করেছেন।
এর আগে ইসরায়েল, চীন এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে পাওয়া নানা নমুনা দেখে ধারণা করা হতো যে, অন্তত এক লাখ ৮০ হাজার বছর আগেই মানুষ আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
তারও আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, আফ্রিকা থেকে অন্তত ৬০ হাজার বছর আগে মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
স্থানটি এখন মরুভূমি হলেও একসময়ে এখানে একটি হৃদ ছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের
বিজ্ঞানীদের ধারণা, ৮৫ হাজার বছর আগে সৌদি আরবের পরিবেশ আজকের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন ছিল। মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে তখন অনেক বড় বড় হ্রদ তৈরি হয়েছিল, যাতে জলহস্তীর মতো প্রাণিও থাকতো। এছাড়া অ্যান্টি লোপ আর বুনো গরুর মতো অনেক প্রাণিও সেখানে বাস করতো।
ড. গ্রোকাটের মতে, এসব কারণেই আফ্রিকা থেকে সে সময় মানুষ সৌদি আরবে এসে বসবাস করতে শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে এই লোকগুলোর কী হলো, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় রহস্য’।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক গবেষণাতে উল্লেখ করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সেই প্রাচীনকালে মানুষ আফ্রিকা থেকে বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ