২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:১২

নকলে বাধা দেয়ায় ছাত্রলীগ নেতার হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় পূর্ব মাদারীপুর কলেজ কেন্দ্রে ডামুড্যা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নকল করতে বাধা দেয়ায় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা গোসাইরহাটের শামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের তিন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পূর্ব মাদারীপুর কলেজ শাখার সভাপতি এনামুল হক ইমরানের নেতৃত্বে সবুজের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আসার সাথে সাথে শিক্ষকদের হামলার ঘটনা ঘটায়। এসময় শিক্ষকদের চিৎকারে এলাকার সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসে ঐ তিন শিক্ষককে রক্ষা করে।

কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি বলেছেন, ‘হামলা নয় তর্ক-বির্তক হয়েছে।’ ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বলেছেন, ‘এ ঘটনার সাথে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ জড়িত নয়। যারা ঘটিয়েছে তারা ছাত্রলীগের কেউ না।’

ভুক্তভোগী শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ এইচএসসি পরীক্ষার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষায় গোসাইরহাট শামসুর রহমান কলেজের ১৪ জন শিক্ষক পরীক্ষার হলে গার্ড দেয়ার জন্য ডামুড্যার পূর্ব মাদারীপুর কলেজ কেন্দ্রে যায়। সরকারী বিধি অনুযায়ী গোসাইরহাট শামসুর রহমান কলেজের শিক্ষকগণ ডামুড্যার পূর্ব মাদারীপুর কলেজ এবং ডামুড্যা কলেজের শিক্ষকগণ গোসাইরহাট কলেজে দায়িত্বরত থাকবেন।

সেই প্রেক্ষিতে ডামুড্যা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৩নং কক্ষে গোসাইরহাটের শামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজির প্রভাষক নাজমুল হাসান, জীব বিজ্ঞান বিভাগের জান্নাতুর মামুর, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম মিয়া, পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত ছিলেন। এসময় ছাত্র-ছাত্রীরা নকল করতে চাইলে ওই শিক্ষকগণ বাধা প্রদান করেন। পরে পরীক্ষা শেষ হলে শিক্ষকগণ হল থেকে বের হয়ে ডামুড্যা বালিকা বিদ্যালযের প্রধান ফটকে আসলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক ইমরান এর নেতৃত্বে ১০-১২ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ওই শিক্ষকদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ করেছে ঐ শিক্ষকরা। এ সময় এলাকার লোকজন এসে শিক্ষকদের রক্ষা করে।

গোসাইরহাটের শামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, পরীক্ষার হলে নকল করতে বাধা দেয়ায় কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী আমাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারি বিধি অনুযায়ী পরীক্ষার হলে আমাদের দায়িত্ব পালন করা কঠিন হবে।

পূর্ব মাদারীপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক ইমরান বলেন, পরীক্ষা হলে স্যারেরা কিছু অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় কিছু পরীক্ষার্থী ছাত্রদের সাথে স্যারদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু শারীরিকভাবে কিছু করা হয়েছে বলে মনে হয় না। আমি বা আমার কোনো নেতা-কর্মী এ ঘটনার সাথে জড়িত না।

ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল বলেন, তুষার ও তাওরাত এর নেতৃত্বে কিছু ছেলেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি শুনেছি। এরা ছাত্রলীগের কেউ না। ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী এ ঘটনার সাথে জড়িত না।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, আমরা বিষয়টি মৌখিকভাবে এই রকম একটা অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ

প্রকাশ :এপ্রিল ১০, ২০১৮ ৯:৫১ অপরাহ্ণ