বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
ভবিষ্যৎ মানুষকে টিকে থাকার জন্য সুপেয় পানির সঠিক চাহিদার যোগান নিয়ে ভাবতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি । কারণ এর মধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বিশ্বের নানা প্রান্তেই প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিস্তীর্ণ আফ্রিকা থেকে জলের হাহাকার এসে পৌঁছেছে আমাদের প্রতিবেশী ভারতেও।
ভূ-পৃষ্টের অভ্যন্তরীণ জলের বিকল্প উৎস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা। জলের জন্য কাতরাতে থাকা এতো মরুবাসীর জন্য সঠিক সমাধান পাচ্ছিলেন না। তবে এবার তাদের পথ দেখিয়েছে বাতাস। বায়ুমণ্ডলের অফুরন্ত বাতাস থেকেই জল আহরণ প্রযুক্তির আধুনিকায়ন করে ফেলেছেন ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
ধারণাটা পেয়েছেন সাহারা মরুভূমি ও আন্দিজ পর্বতের নীচে সবচেয়ে শুষ্ক অঞ্চলে বসবাসকারী গোত্রের মানুষদের কাছ থেকে। সেখানকার মানুষেরা হস্তশিল্পে তৈরি এক ধরণের বিশেষ জাল ব্যবহার করে বাতাসের জলীয় কণা ধরে তা পানিতে পরিণত করেন। তারা জালটিকে বাতাসের বিপরীতে স্থাপন করেন এবং সেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলের কণা আটকে গিয়ে ফোটার আকার ধারণ করে নীচের পাত্রে গড়িয়ে পড়ে। এইসব ‘কুয়াশা চাষি’রা তাদের প্রতিবেশী গোত্রগুলোরও পানীয় চাহিদা মিটিয়ে থাকেন একইভাবে। এই প্রযুক্তির সাহায্যেই অত্যন্ত ঊষর মরুতে এতো দীর্ঘকাল ধরে টিকে আছেন তারা।
এবার ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দল ঘোষণা দিয়েছেন যে, তারা হস্তশিল্পে তৈরি জালের চেয়েও তিনগুণ দ্রুতগতিতে বাতাস থেকে জল তৈরি করতে পারে এমন জাল বানিয়েছেন। তারা এর নাম দিয়েছেন ‘হার্প’। বাতাস থেকে জল তৈরির এ প্রযুক্তিকে আরো আধুনিকায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা। তাদের বিশ্বাস, আগামীতে মানুষের অবারিত জলের চাহিদা মেটানোর বিকল্প সহায়ক হবে এটি। বাঁচিয়ে দেবে অনেকের প্রাণ। সিএনএন।দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ