নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলী লক্ষ্মীনগর এলাকায় পুলিশ সোর্স আলমগীর হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করায় ইটখোল শ্রমিক দেলোয়ার হোসেনকে ইয়াবা সেবন করিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে আলমগীরের সঙ্গে তার আরও দুই বন্ধু অংশ নেয়। সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীরের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আলমগীর হোসেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই শাফিউল আলম বলেন, হত্যাকাণ্ডে নিহত ও হত্যাকারীরা সকলে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী এবং মাদক ব্যবসায়ী। আলমগীর আসামি ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করত। তবে কোনো পুলিশ অফিসারের নিয়মিত সোর্স ছিলেন না।
তিনি জানান, আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মিনু বেগমের সঙ্গে দেলোয়ার হোসেনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে ক্ষোভে আলমগীর হোসেন ৫ জানুয়ারি ভোরে কাজের কথা বলে দেলোয়ারকে বাসা থেকে ডেকে আনেন।
এসআই শাফিউল আরও জানান, এরপর লক্ষ্মীনগর আশিক ব্রিকফিল্ডে নিয়ে শ্রমিকদের ঘরে ইয়াবা সেবন করিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এসময় আলমগীরের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে হৃদয় ও সাদ্দাম ছিলেন। এ ঘটনায় হৃদয় ও সাদ্দাম ৭ এপ্রিল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ