সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটে মা-ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৯ এপ্রিল) সকালে কুমিল্লার তিতাস থেকে আসামি তানিয়াকে (২২) গ্রেফতার করে সিলেট থেকে যাওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা। সিলেট পিবিআই’র পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তানিয়ার কাথিত স্বামী মামুনকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে কুমিল্লার তিতাসে মামুনের বাড়ি থেকে তানিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে সিলেটে নিয়ে আসা হচ্ছে। বেলা আড়াইটার দিকে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, যদিও আমরা এ মামলার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত না, এরপরও পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বিশেষ নির্দেশে কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে পিবিআই তানিয়াকে গ্রেফতার করেছে। খুনের ঘটনায় জড়িত তানিয়ার নাম বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছিলো। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায় বলে সংবাদ প্রচারিত হলেও তার বাড়ি কুমিল্লায়। প্রাথমিকভাবে তানিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে একেক সময় একেক কথা বলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, মা-ছেলে খুনের ঘটনায় রাফি নামে আরেক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৮ এপ্রিল) সকালে নগরীর আম্বরখানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় বাসিন্দা। সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমাণ্ডে আনা হবে।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল রাতে এ মামলায় নাজমুল নামে এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি পুলিশ। পরদিন ৪ এপ্রিল তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে। গত ১ এপ্রিল বিকেলে নগরীর মিরাবাজার খাঁরপাড়া ‘মিতালী ১৫/জে’ বাসার নিচতলা থেকে রোকেয়া বেগম (৪০) ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম রোকনের (১৬) মরদেহ এবং মেয়ে রাইসাকে (৫) জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহত রোকেয়া বেগম সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর কলকলি গ্রামের হেলাল মিয়ার স্ত্রী। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় বছরখানেক ধরে ওই বাসায় দুই সন্তানকে
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি