নিজস্ব প্রতিবেদক:
মধ্যরাতে আবারো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ত্রিমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসি এলাকা পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেল, কাদানে গ্যাস, জলকামান নিক্ষেপ ও ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫০ জন।
রোববার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে টিএসসি এলাকা দখল করে রাখে আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ও শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান করে। শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নিয়ে লাগাতার টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। ওদিকে শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা রোববার দিনভর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে। রাত ৮টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের কারণে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ থেকে সরে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও চারুকলা অনুষদের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা আন্দোলনকারীরা টিএসসির সামনে অবস্থান নেয়।
ঢাকা মেডিকেলল কলেজের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (এসআই)বাচ্চু মিয়া জানান, শাহবাগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মতো চিকিৎসা নিয়েছে। আহতরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবি হলো- বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি ৫৬ থেকে ১০ শতাংশ করা, যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা, একটি পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থীকে কোটায় চাকরি না দেওয়া, কোটার জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া, চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়স প্রক্রিয়া প্রণয়ন করা।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ আন্দোলন আবারও জোরদার হয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, ১০ শতাংশের বেশি কোটায় নিয়োগ দেওয়া যাবে না। আন্দোলনেরমুখে গত মাসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি