নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এখনই বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো পরিস্থিতি হয়নি বলে মনে করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক মো. শামছুজ্জামান। তিনি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান।
রোববার মো. শামছুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো আসেনি। তিনি যত দূর দেখেছেন, তাতে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক যে অবস্থা, তাতে এখনই তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। কারাগারে আসার আগে থেকেই তাঁর আরথ্রাইটিসের সমস্যা ছিল। এখন সেই সমস্যা কিছুটা বেড়েছে। তাঁর বাঁ পা ও বাঁ হাতে একটু ব্যথা হয় এখন। যেহেতু বাঁ পাশে ব্যথা, তাই ধরে নেয়া যায় তাঁর কোমরে কিছুটা সমস্যা আছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছর সাজা পেয়ে কারাগারে আছেন বেগম খালেদা জিয়া। দুই মাসের মাথায় গতকাল শনিবার তিনি চিকিৎসার জন্য কারাগারের বাইরে আসেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আনা হয়। সামনে ও পেছনে ছিল র্যাবের পাহারা। পুলিশের কালো রঙের একটি গাড়িতে করে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়।
বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার কোমর ও ঘাড়ের এক্স-রে করা হয়। পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে এসব পরীক্ষা করা হয়।
বেলা পৌনে ২টায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। এরপরই বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন সাংবাদিকদের বলেন, আপাতদৃষ্টিতে তিনি ভালো আছেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল কারা প্রশাসনকে জানাবে।
তবে বিএনপি বলেছে, এই চিকিৎসায় তাদের আস্থা নেই। সরকার চিকিৎসার নামে নাটক করেছে। এই চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের কোনো পরামর্শ নেয়া হয়নি।
এর আগে ১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠিত বিশেষ মেডিকেল বোর্ড কারাগারে গিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। পরদিন বোর্ডের সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক মো. শামছুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ, তবে গুরুতর নয়।
গত শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের স্বাস্থ্য খুব ভালো নয়।’
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ