অনলাইন ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে ৯০ এর দশকে এক অস্ত্র চুক্তিতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ডারবান শহরে অবস্থিত উচ্চ আদালতে গতকাল সকালে তার ১৫ মিনিট হাজিরা শেষে মামলার শুনানি ৮ই জুন পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়েছে।
বর্তমানে জুমা’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জালিয়াতি, কালোবাজারি, অর্থ পাচারসহ ১৬টি অভিযোগ রয়েছে। তবে জুমা তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে দলের ভেতর থেকে চাপ আসায় প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন জুমা।
তার সমালোচকরা বলছেন, আদালতের কার্যপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। তবে শুক্রবার তার সমর্থকরা ডারবানজুড়ে সমাবেশ করেছে। শুনানি শেষে জুমা তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
তিনি বলেন, আমি এমনটা কখনো দেখেনি যে, কারো বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, সে অভিযোগ পরবর্তীতে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে এবং কয়েক বছর পরে আবার একই অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
যে অস্ত্র চুক্তিতে জুমা’ দুর্নীতি করার অভিযোগ গঠিত হয়েছে, সেই চুক্তি হয় ১৯৯৯ সালে। ওই বছর জুমা একজন প্রাদেশিক মন্ত্রী থেকে ডেপুটি প্রেসিডেন্টের পদে উন্নীত হন। তার বিরুদ্ধে ফরাসি আগ্নেয়াস্ত্র সংস্থা থালেস- এর কাছ থেকে তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টার মাধ্যমে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার উপদেষ্টা শকাবির শাইখ এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়েছেন ও ২০০৫ সালে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অন্যদিকে ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার আগ দিয়ে জুমা’র বিরুদ্ধে গঠিত মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তবে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে রাষ্ট্রের অর্থ লুন্ঠনসহ বেশ কিছু কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে একটি আদালত রায় দেন যে, তিনি ব্যক্তিগত বাড়ি নির্মাণে সরকারি অর্থ ব্যবহার করে শপথ ভঙ্গ করেছেন। জুমা অবশ্য পরবর্তীতে ওই অর্থ পরিশোধ করেন।
জুমা বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় তার সমর্থকের সংখ্যাও কম নয়। তারা দাবি করে জুমাকে অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ