আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এক সপ্তাহের মাথায় আবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে অন্তত আটজনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। এ সময় আহত হয়েছেন আরো হাজারখানেক ফিলিস্তিনি। তবে ইজরায়েল দাবি করেছে, বিক্ষোভকারীরা গাজা এলাকায় সীমান্ত বেড়া ভেঙে সেনা সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এর আগে গত ৩০ মার্চ ফিলিস্তিনিদের নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তনের দাবিতে আয়োজিত এক মিছিলে গুলি চালালে ১৭ জন নিহত হন। এর পর থেকেই ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সীমান্ত এলাকা। সীমান্তবর্তী গাজা উপত্যকায় এ হামলার ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে। বেশ কয়েকটি দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
এই অবস্থার মধ্যে উভয় পক্ষকে ‘সব ধরনের সংঘাত প্রবণতা এড়িয়ে চলা ও সংযম প্রদর্শনের’ আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেজ। এক সপ্তাহ আগে গুলি করে ১৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যার ঘটনার ধারাবাহিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকায় মিছিল বের করে। মিছিলটি ইজরায়েলের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী গুলি ছুড়ে। আর তখনি এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ফিলিস্তিনিরা প্রতিবছর ৩০ মার্চকে ‘ভূমি দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফিলিস্তিনিরা যখন তাদের জমি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল, তখন ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে ছয়জন নিহত হয়। ১৯৪৮ সালের এই দিনে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ফেলে শরণার্থী শিবিরে বা অন্য স্থানে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ, ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর তাদের বাড়িঘর দখল হয়ে যায়, তারা বিতাড়িত হয়।
দিবসটি স্মরণে এবারও ছয় সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। এবারের বিক্ষোভের মূল স্লোগান ছিল ‘গ্রেপ মার্চ টু রিটার্ন’ বা ‘নিজের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার মিছিল’। এর অংশ হিসেবেই গতকাল মিছিল নিয়ে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েল সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অংশ নেয়। ছয় সপ্তাহব্যাপী এই বিক্ষোভ শেষ হবে আগামী ১৫ মে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি