এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন জানান, ঘটনা তদন্তের জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংগঠন।
এ কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তদন্তের পর দোষীদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সংগঠনটির তিন কর্মী আহত হয়। দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাংলা বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী পিয়াস ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর আলমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
কিন্তু সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের এক কর্মীকে একা পেয়ে তার ওপর হামলা করে। এতে করে সংঘর্ষ আবারও ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এবং সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংগঠনটির তিন কর্মী আহত হয়। এছাড়া দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিকের ওপর হামলা প্রশ্নের উত্তরে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, ‘এ বিষয়টা আমরা জানি না। এমন কিছু হলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ক্যাম্পাস এখন শান্ত রয়েছে।দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ