আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইয়ামেনে সৌদি জোটের হামলায় ৭ শিশুসহ ১৪ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো ৯ জন । স্থানীয় সময় সোমবার এ হামলার ঘটনা ঘটে।
দেশটির উপকূলীয় শহর হোদেইদাহে হামলাটি চালানো হয় ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমান হামলায় শহরটির আল হালি এলাকার একটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। যে ১৪ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১২ জন এক পরিবারের সদস্য এবং নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু রয়েছে।
ইয়েমেনের অন্যান্য এলাকা থেকে আসা বাস্তুচ্যুত লোকজন আল হালি এলাকায় স্থায়ী হয়েছেন। দরিদ্র দেশ ইয়েমেনের সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর হোদেইদাহ। দেশটির দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা লাখ লাখ বেসামরিক লোকজনের জন্য যে মানবিক ত্রাণ পাঠানো হয়, তা প্রধানত এই বন্দর দিয়েই দেশটিতে প্রবেশ করে।
ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী হুতি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে আছে বন্দরটি। বিমান হামলায় বন্দরটির কোনো ক্ষতি হয়নি।
শহরের স্বাস্থ্য ব্যুরোর পরিচালক আব্দুল রহমান জারাল্লাহ বলেন, বিমান হামলা তীব্রতর হওয়ার কারণে সেখানে কোনো অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে পারেনি। তবে ওই এলাকায় কোনো সামরিক উপস্থিতি নেই।
চিকিৎসকরা বলেন, তারা যখন হামলার স্থলে গিয়েছিলেন, তখন কেবল দুটি লাশ শনাক্ত করতে পেরেছেন। অধিকাংশ লাশ বিমান হামলায় টুকুরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে।
তারা বলেন, যাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, তারা সবাই খোলা আকাশের নিচে ছিল। তাই তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা সহজ হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় একটু বাতাস পেতে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন।
নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে বেসামরিক লোকজনকে হত্যায় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সৌদি আরবের সমালোচনা করে আসছে। ইয়ামেনে কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দিচ্ছে না সৌদি আরব।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ