নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি অসুস্থ, তবে গুরুতর নয়। আজ সোমবার দুপুরে শামসুজ্জামান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গণমাধ্যমকে শামসুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ঘাড়ে, বাম হাতে, পায়ে ব্যথা বোধ করেন। হাত ঝিমঝিম করে। খালেদা জিয়া আগে যেসব ওষুধ সেবন করতেন, আমরা আরও কিছু ওষুধ বাড়িয়ে দিয়েছি। রক্ত ও এক্স-রে পরীক্ষা দিয়েছি, যা কারা কর্তৃপক্ষ করাবে। পাশাপাশি খালেদাকে ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছি। সর্বপরি তিনি অসুস্থ তবে, গুরুতর নয়।’
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পর্কে জানাতে আজ সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হলেও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য দিতে পারেনি। হাসপাতালের উপপরিচালক শাহ আলম তালুকদার বলেন, মেডিকেল বোর্ডের কোনো প্রতিবেদন তাঁদের কাছে আসেনি।
হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শাহ আলম তালুকদার বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। তবে এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের কোনো প্রতিবেদন আমরা পাইনি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’
এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন উপপরিচালক। এর বেশি জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের পরিচালক এ কে এম নাসিরউদ্দীনের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরিচালক মন্ত্রণালয়ে আছেন। তাই নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড গতকাল রোববার বেলা সোয়া একটায় নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। মেডিকেল বোর্ড সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠিত বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা হলেন অধ্যাপক মো. শামছুজ্জামান (অর্থোপেডিকস), অধ্যাপক মনসুর হাবীব (নিউরোলজি), অধ্যাপক টিটু মিয়া (মেডিসিন) ও সোহেলী রহমান (ফিজিক্যাল মেডিসিন)।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে নেওয়া হয়। সে সময় থেকে এখন তিনি জেলেই আছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর