নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতি বছর পহেলা মার্চ ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দিবসটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জাতীয় ভোটার দিবস পালনের জন্য ১ মার্চকে ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে একটি প্রস্তাব ছিল। সেই প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দিবসটি আমাদের দেশের পার্শ্ববর্তী বেশকিছু দেশে জাতীয়ভাবে পালিত হয়।’
ফোরাম অব ইলেকশনস ম্যানেমেন্ট বডিজ অব সাউথ এশিয়া এর চতুর্থ সভার একটি প্রস্তাবে দিবসটি পালনের নির্দেশনা আছে। এর আঙ্গিকে বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপিত হয়।
‘ভোটার দিবস’ ঘোষণার কারণ জানতে চাইলে সচিব জানান, ‘এটি আসলে গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতেই এ দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের তরুণ সমাজকে ভোটে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করতেও এ দিবসটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
বিএনপির দাবি অনুযায়ী ‘ভোটারা মুখ ফিরিয়ে নেয়ায়’ এই দিবসের ঘোষণা করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘না, এমন নয়। এটা বিশ্বের বেশকিছু দেশে পালিত হয় এজন্য আমাদের দেশেও দিবসটি পালনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে, বছরের প্রথম দিন অথবা জুলাইয়ের ৭ তারিখকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে পালনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে ১ মার্চকেই বেছে নিল সরকার।
মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল। আর ভোটার হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ১ জানুয়ারিতে ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর হচ্ছে কি না- তা বিবেচনা করে ইসি।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর