নিজস্ব প্রতিবেদক:
আপিল বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিএনপি ও ছাত্রদলের ৪ নেতাকে কেন গ্রেফতার করা হলো তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
দলটির ৪ নেতা হলেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন। একই সঙ্গে তাদের গ্রেফতার বেআইনি ঘোষণা করেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রধানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পালনের সময় দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আটক করে পুলিশ।
গত ৬ মার্চ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি )। এদিন জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয় বরাবর ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি চলছিল। ৭ মার্চ তার বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ০৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনের স্কাউট মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসানসহ কমপক্ষে ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়া হয়।
এছাড়া গত ৮ মার্চ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধরেও আটক এড়াতে পারেননি ছাত্রদল উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এদিন প্রেস ক্লাবে দলটির অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর