নিজস্ব প্রতিবেদক :
আজ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদাতবার্ষিকী। তিনি ছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক,দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি ‘শহীদ জিয়া’ বলেই পরিচিত। শোকাবহ এই দিনটি স্মরণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণসহ ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ। জাতি আজ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশেষ বাণী দিয়েছেন।
জিয়াউর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে তার সমাধিস্থলে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
পরে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর উদ্যোগে মাজার প্রাঙ্গনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন তিনি। এ সময় জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে মাজারে কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ঢাকা মহানগরী বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীতে দুস্থদের মাঝে কাপড় ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবেন বেগম খালেদা জিয়া।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ড্যাব এর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ওষুধ বিতরণের আয়োজন করা হবে।
জিয়াউর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। একইভাবে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে শাহাদৎবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। গত ২৭ মে থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। পোস্টার প্রকাশ, কালো ব্যাজ ধারণ, সংবাদপত্র ও অনলাইন পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, আলোচনা সভা থাকছে।
এ ছাড়া দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো পোস্টার প্রকাশ, আলোচনা সভার আয়োজন করবে এবং শাহাদৎবার্ষিকীর দিন ছাত্রদল জাতীয় প্রেসক্লাবে সারা দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী করবে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। ‘জেড ফোর্সে’র অধিনায়ক হিসেবে রণাঙ্গনে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন তিনি। বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ বঙ্গবন্ধু তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করেন। ‘৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন তিনি। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ