জ্যেষ্ঠ নেতাদের এক যৌথ সভা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ আমাদের যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আগামী খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনে্র যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহন করবো।”
‘‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখার জন্য, জনগনের যে অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টির জন্যে আমরা এই নির্বাচনে আন্দোলনের অংশ হিসেবে অংশ গ্রহন করব। আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দেশনেত্রীকে আজকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক রাখা হয়েছে। তার মুক্তি আন্দোলনকে আরো বেগবান করবার জন্যে এই নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘যদিও আমরা মনে করি যে, বর্তমানে দেশে নির্বাচন করবার মতো কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। আজকে যখন বিরোধীদলকে তাদের যে সাংবিধানিক অধিকারগুলো রয়েছে তাদের সভা করার, সমিতি করার, জনগনের কাছে যাওয়ার যে ন্যুনতম অধিকারগুলো রয়েছে, সেই অধিকারগুলো প্রয়োগ করতে দেয়া হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে এই নির্বাচন কতটুকু কার্য্করি হবে এবং সেটা কতটুকু বিরোধী দলকে করতে দেয়া হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।”
দুই সিটি করপোরেশনে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘প্রার্থী পরে ঠিক হবে। সেটা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য যারা আছেন তারা এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে আমরা প্রার্থী চূড়ান্ত করবো।”
শনিবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এ দুটি সিটি করপোরেশনের গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী, মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১২ এপ্রিল; যাচাই-বাছাই ১৫-১৬ এপ্রিল ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ এপ্রিল। ভোট গ্রহন আগামী ১৫ মে।
২০১৩ সালে ৬ জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরেশ নির্বাচনে বিএনপির অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও ২০১৩ সালের ১৫ জুন খুলনা সিটি করেপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপির মনিরুজ্জামান মুনি বিজয়ী হয়েছিলেন।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সন্ধ্যায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত বৈঠক হয়। বৈঠকে আসন্ন সিটি নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ও সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
তিন ঘন্টা ব্যাপী এই বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই যৌথসভায় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং বৈঠকে যুক্ত ছিলেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকু্ল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে হারুন আল রশীদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, কামাল ইবনে ইউসুফ, মীর নাসির, রুহুল আলম চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আমিনুল হক, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াস কাদের চৌধুরী, শওকত মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে উকিল আবদুস সাত্তার, লুৎফর রহমান খান আজাদ, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, মশিউর রহমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আনহ আখতার হোসেন, জয়নুল আবদিন ফারুক, ভিপি জয়নাল আবেদীন, মনিরুল হক চৌধুরী, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, ফজলুল হক আসপিয়া, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, আবদুল কাইয়ুম, ইসমাইল জবিউল্লাহ, আবদুর রশীদ, জিয়াউর রহমান খান, তাজমেরী ইসলাম, সাহিদা রফিক, গোলাম আকবর খন্দকার, কবীর মুরাদ, ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজমুল হক নান্নু, তাহমিনা রুশদীর লুনা, এনামুল হক চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, তৈমুর আলম খন্দকার, বোরহান উদ্দিন, আফরোজা খানম রীতা, আবদুস সালাম, মোহাম্মদ শাহজাদা মিয়া, এসএম ফজলুল হক, আবদুল হাই, আব্দুল কুদ্দুস, মামুন আহমেদ, খন্দকার মুক্তাদির হোসেন, সৈয়দ শামসুল আলম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আসাদুল হাবিব দুলু, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, মাহবুরে রহমান শামীম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।