ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার নাসিরউদ্দীন আহমেদ ও এএফএম আমিনুল ইসলাম, সচিব মো. শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. জাফর ইকবাল বক্তব্য দেন।ইকবাল মাহমুদ বলেন, “সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন- বাংলাদেশের সব কোচিং সেন্টারগুলো অবৈধ। আমরা বলতে চাই সকল কোচিং সেন্টারগুলো শুধু অবৈধ নয় দুর্নীতির আখড়াও। সরকার, ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক সকলকে আমরা অনুরোধ জানাই, আসুন এই অবৈধ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি।”প্রশ্নফাঁস ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সম্মিলিত চেষ্টার কথা বলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “যেকোনো মূল্যে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং কোচিং বাণিজ্য চিরতরে বন্ধ করতে হবে। আমাদের সন্তানরা সারাদিন কোচিং সেন্টারে-সেন্টারে ঘুরে বেড়াবে তা হতে পারে না।”
শিক্ষিত জাতি গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা শিক্ষকদের এ ক্ষেত্রে প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন ইকবাল মাহমুদ। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সুযোগ-সুবিধা, সামাজিক মর্যাদা, বেতন বৃদ্ধিসহ সব ধরনের উন্নয়নে দুদক পাশে থাকবে। তবে আপনারা শ্রেণিকক্ষে এমন শিক্ষার ব্যবস্থা করুন যাতে আমাদের সন্তানদের কোচিং সেন্টারে যেতে না হয়।’
হাইকোর্টের রায়ে কোচিং সেন্টার বেআইনি ঘোষণা করা হলেও এসব বন্ধে মন্ত্রণালয়ের কোনো ক্ষমতা নেই বলে সম্প্রতি অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সামনে রেখে ২৯ মার্চ থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া সারাদেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখবে সরকার। এবারের এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ২ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
শিক্ষকদের ‘বেতন-ভাতা ও মর্যাদা’ আরো বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান দুদক চেয়ারম্যান। সততা সংঘের সদস্যসহ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “তোমরা এ প্লাস কিংবা ফলাফলের পেছনে না ছুটে পরিপূর্ণ এবং নির্মোহভাবে জ্ঞান অর্জনে মনোনিবেশ কর। তোমরাই হবে দেশের সবচেয়ে দক্ষ, সক্ষম এবং সামর্থ্যবান অমূল্য মানবসম্পদ।”
তিনি দেশের প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা বিস্তারে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ