স্পোর্টস ডেস্ক:
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স করেছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের প্রথম রাউন্ডে অবনমন। তবে রেলিগেশন লিগ পর্বে এসেও দলের সবচেয়ে বড় তারকা মোহাম্মদ আশরাফুল ঠিকই তার ঝলক দেখিয়ে যাচ্ছেন। অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই লিটল মাস্টার তুলে নিয়েছেন এবারের আসরে তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। প্রাইম দোলেশ্বরের লিটন দাস দুই দিন আগে তৃতীয় সেঞ্চুরি করে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন আশরাফুলকে। তবে সর্বশেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর রেলিগেশন লিগে এসে টানা দ্বিতীয় শতরানের ইনিংস খেলে ৩৩ বছর বয়সী আশরাফুল আবার কাটিয়ে গেছেন লিটনকে।
এ বছরই জাতীয় দলে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে ডানহাতি ব্যাটসম্যান আশরাফুলের জন্য। তাই এবারের লিগটি নিজেকে প্রমাণ করার বড় সুযোগ তার জন্য। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে এগিয়ে থাকলেও দলগত পারফম্যান্স পিছিয়েই দিচ্ছে তাকে। আগের তিন সেঞ্চুরির মাত্র এক ম্যাচেই জিতেছে তার দল। সাভারে বিকেএসপিএর ৪ নম্বর মাঠে এদিন আশরাফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করেছে কলাবাগান।
টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় কলাবাগান। তবে মাত্র ৩৬ রানেই দলটি হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ততক্ষণে ১৩.১ ওভারের খেলা শেষ। এরপর চতুর্থ উইকেটে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তাইবুর রহমানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আশরাফুল। দুজনে মিলে যোগ করেন ১৬৩ রান। তবে ব্যক্তিগত ৮২ রানে উইকেট হারানোয় এবারে লিগে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন তাইবুর। আশরাফুল অবশ্য অন্য প্রান্ত ধরে ছিলেন। ২০৯ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর রিয়াজুল হুদার সাথে দলকে ২৪৬ রানে সংগ্রহে পৌঁছে দেন তিনি। সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান এই ব্যাটসম্যান এদিন ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ১৩৭ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছয়ের মার।
অগ্রণী ব্যাংকের সৌম্য সরকার ৪৬ রান খরচায় পেয়েছেন দুই উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন ও আবদুর রাজ্জাক। আশরাফুলের এ দিনের সেঞ্চুরি কলাবাগানকে জেতাতে পারবে কিনা, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর