নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরাসরি ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুতে বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে। আগামী ২৩ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে ‘শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস’-এর একটি বাস ছাড়বে নেপালের উদ্দেশে।
বাসটির প্রথম যাত্রায় অংশ নেবেন বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের সরকারি প্রতিনিধিদল ও দাতা সংস্থা এডিবির সদস্যরা। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঢাকা-কাঠমান্ডুর ১১০০ কিলোমিটার সড়কপথ পরিদর্শন করবেন। সড়কে বাস চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই, ভাড়া নির্ধারণ এবং তিন দেশের মধ্যে বাস চলাচলের বিভিন্ন বিষয় ঠিক করবেন তারা।
ঢাকা থেকে চার দিনের যাত্রা শেষে ২৬ এপ্রিল প্রতিনিধিদল কাঠমান্ডু পৌঁছাবে। তবে এরপর থেকে যাত্রী নিয়ে এন আর ট্রাভেলস-এর বাস প্রায় ৩০ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে নেপালের কাঠামান্ডু পৌঁছে যাবে। মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, ২৩ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে প্রথম বাস যাত্রার ট্রায়াল রান শুরু হবে। কাঠমান্ডু পৌঁছে ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের প্রতিনিধিদল বৈঠক বসবে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. এহসান ই এলাহী বলেন, বাসের প্রথম যাত্রা হবে ট্রায়াল রান হিসেবে। এতে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ২০ জনের মতো যৌথ দল যাবে। নেপালে পৌঁছে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত হবে এবং প্রটোকল স্বাক্ষরের কাজ রয়েছে। এটি স্বাক্ষর হলে বিবিআইএন-এর সব রুটই চালু হয়ে যাবে। তবে তিন দেশের সম্মতি থাকলে ট্রায়াল ভিত্তিতেই ঢাকা-কাঠমান্ডু বাস চলতে থাকবে। ২৭ মার্চ এডিবির আয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সে তিন দেশের কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। এডিবি উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছে। বাসের প্রথম যাত্রা হবে ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি’র মতো।
বিআরটিসি সূত্র জানায়, ২৩ এপ্রিলের পর সরাসরি যে বাস সার্ভিস চালু হবে তাতে সাধারণ যাত্রীরা খুব সহজেই নেপাল যেতে পারবেন। স্বাভাবিকভাবে ভারতের মাল্টিপল ও ডাবল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে যেতে হবে। তবে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হতে পারে। এক্ষেত্রে শুধু পাসপোর্ট দিয়ে অন-অ্যারাইভাল ভিসার মতো একটি পদ্ধতিতে এ ভ্রমণ হতে পারে। ২৩ এপ্রিল সকাল ৯টায় ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস-এর দুটি বাস যাত্রা শুরু করবে। হুন্দাই কোম্পানির প্রতিটি বাসে ২৮ সিট রয়েছে। এরপর ২৩ এপ্রিল রাতে রংপুরে রাত্রিযাপন করা হবে। ২৪ এপ্রিল সকালে বাংলাবান্ধা বর্ডার দিয়ে শিলিগুড়িতে ঢুকবে বাস।
সূত্র আরও জানায়, এদিন রাতে শিলিগুড়ি অবস্থান করবে প্রতিনিধি দল। পরের দিন ২৫ এপ্রিল সকালে নেপালের কাঁকরভিটায় ঢুকবে বাস। এরপর নেপালের নারায়ণঘাট নামে একটি জায়গায় রাত্রিযাপন করবে প্রতিনিধি দল। ২৬ এপ্রিল সকালে নারায়ণঘাট থেকে কাঠমান্ডুর পথে রওয়ানা হবে বাসটি। ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধার দূরত্ব প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার। বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের কাঁকরভিটা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার। কাঁকরভিটা থেকে কাঠমান্ডুর দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২২০ কিলোমিটার পাহাড়ি খাড়া রাস্তা। সবমিলিয়ে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু ১১০৪ কিলোমিটার সড়কপথ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ