স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যাচটা সত্যিকারার্থে কোনো প্রতিযোগিতা নয়। এই ম্যাচে জিতলে অনেক কিছু অর্জন হবে, না জিতলে সব হারিয়ে ফেলবে- এমনও নয়। স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবস উপলক্ষে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মিলন মেলা বসে সাবেক এবং বর্তমান ক্রিকেটারদের। বর্তমানরা আসেন সাবেকদের স্নেহের পরশ নিতে। সাবেকরা আসেন একটি মিলন মেলায় অংশ নিতে। এরই মধ্যে হয়ে যায় একটি সম্প্রীতির ম্যাচ। বিজয় দিবসে হলে তার নাম হয় ‘বিজয় দিবস’ ক্রিকেট, স্বাধীনতা দিবসে হলে তার নাম হয় ‘স্বাধীনতা দিবস’ ক্রিকেট। ৪৭তম মহান স্বাধীনতা দিবসে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত প্রীতি ম্যাচে হান্নান সরকারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সবুজ দলকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আকরাম খান-হাবিবুল বাশারদের লাল দল। ২৪ বলে ৬১ রানের টর্নেডো গতির ইনিংস খেলেন হান্নান সরকার। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার এই ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ১৮.১ ওভারেই কাংখিত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লাল দল।
বাংলাদেশ লাল এবং বাংলাদেশ সবুজ দল নাম নিয়ে ভাগ হয়ে পরস্পর মুখোমুখি হন সাবেক ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ লাল দলের নেতৃত্বে ছিলেন আকরাম খান এবং বাংলাদেশ সবুজ দলের অধিনায়ক ছিলেন আতহার আলি খান। আকরাম খানের দলে ছিল তারকা ক্রিকেটারের ছড়াছড়ি। হাবিবুল বাশার সুমন, হান্নান সরকার, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, খালেদ মাহমুদ সুজন, তালহা জুবায়ের, মঞ্জুরুল ইসলাম, এনামুল হকরা। অন্যদিকে আতহার আলি খানের দলে ছিলেন মেহরাব হোসেন অপি, হারুনুর রশীদ, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, রফিকুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান ঝড়ু, ফারুক আহমেদরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সবুজ দল। ২৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন রফিকুল ইসলাম খান। ১৬ বলে ২৭ রান করেন হারুনুর রশীদ। ১০ বলে ২২ রান করেন হাসানুজ্জামান। ১৬ বলে ২৭ রান করেন জাহাঙ্গীর আলম। খালেদ মাহমুদ সুজন ৪১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জাকির হাসানও।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন হান্নান সরকার। ২৪ বলে ১০ চার আর ২ ছক্কায় একাই ৬১ রান করেন তিনি। ১৩ রান করেন হাবিবুল বাশার সুমন। ২০ বলে ২১ রান করেন আকরাম খান, ২৩ বলে ৩১ রান করেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। ১৮ বলে ২৩ রান করেন খালেদ মাহমুদ সুজন। শেষ পর্যন্ত ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লাল দল।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ